ঢাকা সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


উত্তরের মানচিত্র থেকে মুছে গেছে ২০০ নদ-নদী


প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৪ ২০:০২

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৫০

তিস্তায় গজলডোবা এবং পদ্মা নদীতে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ফলে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২০০টির মত নদ-নদী মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। এর ফলে আবহাওয়া ও জলবাযুর পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত সাড়ে ৪ মাস থেকে এই অঞ্চলে বৃষ্টি দেখা নেই। অনেকটা খরা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জীববৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে।

তিস্তা, পদ্মাসহ অন্যান্য নদীগুলো এখন হেঁটে পার হওয়া যায়। ১৪ মার্চ আর্ন্তজাতিক নদীকৃত্য দিবস। দিবসটি উপলক্ষে নদী নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

উত্তরাঞ্চলে প্রকৃতির রূপ থেকে প্রবাহ থমকে যাওয়া নদীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ধরলা, জলঢাকা, দুধকুমার, তিস্তা, স্বতী, ঘাঘট, নীলকুমার, বাঙ্গালী, বড়াই, মানাস, কুমলাই, লাতারা, ধুম, বুড়িঘোড়া, দুধ কুমার, সোনাভরা, হলহলিয়া, লোহিত্য, ঘর ঘরিয়া, ধরনী, নলেয়া, জিঞ্জিরাম, ফুলকুমার, কাটাখালী, শালমারা, রায়ঢাক, খারুভাজ, যমুনেশ্বরী, চিকলী, মরা করতোয়া, ইছামতি, আলাই কুমার ,মানাস,মরাতি, ইছামতি, পাগলা, চন্দনা, বারাহি, হাব, নবগঙ্গা, সর্বমঙ্গলা চিনারকুক,ভাঙ্গা, খলিসা, গদাই, প্রাচীণ ইছামতি,কমলা, নারদ ইত্যাদি।

এক সময় শাখা নদী হিসেবে ওই সব নদী দাপটের সাথে এ অঞ্চলের প্রকৃতিকে শাসন করতো। পানির প্রবাহ থমকে যাওয়ায় এসবের অনেক স্থানে নগরায়ন হয়েছে। আবার অনেক স্থান পরিণত হয়েছে আবাদি জমি।

নদী বিষয়ক গবেষক ও লেখকসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা অববাহিকা অর্থাৎ রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় ৫০ টির বেশি নদীর প্রবাহ থেমে গেছে গজলডোবা বাধের কারণে। দিনাজপুর ঠাকুরগাও ও পঞ্চগড় জেলার ৪০ টির বেশি নদীর প্রবাহ নেই। অর্ধশতাব্দী আগে এসব নদীতে ছিল পানির প্রবাহ ও প্রাণের স্পন্দন। বর্তমানে অনেক স্থানে এসব নদীর কোন অস্তিত্বই দেখা যায় না। এছাড়া পদ্মা অববাহিকায়ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট প্রায় ১০০ টি নদী কালের অতলে হারিয়ে গেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের অবস্থাও আরো করুণ। কুড়িগ্রামের চিলমারি এলাকায় শুকনো মৌসুমে এ নদী পায়ে হেটে পার হওয়া যায়।

নদী বিষয়ক গবেষক ও রিভারাইন পিপল কমিটির পরিচালক,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তুহিদ ওয়াদুদ জানান, ফারাক্কা ও গজল ডোবা বাঁধের কারণে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২০০টির মত নদী অস্থিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। পদ্মায় পানি না থাকায় মেঘনা নদীর পানি প্রবাহ করে গেছে।

নদী বিষয়ক লেখক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, হারিয়ে যাওয়া নদীর অস্তিত্ব রক্ষায় সরকারকে দ্রুততম সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে এই অঞ্চলের মরুকরণ ঠেকানো যাবে না।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top