বঙ্গবন্ধুর পরিবেশ ভাবনা নিয়ে "প্রকৃতি ও জীবন" এর এ সপ্তাহের পর্ব
দেশের বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব উপলব্ধি করে এদের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। ওই আইনের মাধ্যমেই দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তারই পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৫ সালে দেশে ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে খুব কম সময় পেলেও তিনি দূরদর্শিতার পরিচয় দেন, যার মধ্যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর পরই বৃক্ষরোপণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি গণভবন, বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে গাছ লাগান। পাশাপাশি দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে দেশের বৃক্ষসম্পদের যে ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের ঘোড়দৌড় বন্ধ করে গাছ লাগিয়ে সুদৃশ্য উদ্যান তৈরি করেন, যার নাম দেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এছাড়া তিনি মহাসড়কের পাশে, বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে বৃক্ষ রোপণের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই সূচনা হয় উপকূলীয় বনায়ন, যা বাংলাদেশকে আজ সম্মানের জায়গায় নিয়ে গেছে।
দেশের বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব উপলব্ধি করে এদের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন। ওই আইনের মাধ্যমেই দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তারই পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭৫ সালে দেশে ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বপ্রথম তিনিই দেশের হাওর-বাঁওড়, নদ-নদী ও অন্যান্য জলাভূমি উন্নয়নের রূপরেখা প্রণয়ন করেন। প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে জাতীয়করণ ও আধুনিকায়ন করা হয় বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক চিন্তা-ভাবনা বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করছেন মুকিত মজুমদার বাবু। বাংলাদেশের প্রথম জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ নিয়ে ধারাবাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’ প্রচারিত হচ্ছে চ্যানেল আইয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১১.৩০ মিনিটে, পুনঃপ্রচার প্রতি শুক্রবার সকাল ১১.০৫ মিনিট এবং রবিবার সকাল ৫.৩০ মিনিটে।
সূত্রঃ সাপ্তাহিক
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: