ঢাকা শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


শীতে লালমনিরহাট বাসিন্দাদের জীবন বিপর্যস্ত


প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৪ ১৭:১০

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ১১:২৬

ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেলার হাসপাতালগুলোতে ‘সিজনাল ফ্লু’ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে কৃষিতে।

রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রোববার সকাল ৬টায় জেলায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

টানা ১০ দিন পর বৃহস্পতি ও শুক্রবার সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা কর্মচাঞ্চল্য ফিরলেও তাতে বাধ সাধে শনিবার থেকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ।

রাতে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা; দিনেও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকছে রাস্তাঘাট। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বেশি কষ্ট পাচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। কাজে বের হতে না পেরে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

আদিতমারী উপজেলার আদিতমারী গ্রামের রহিম উদ্দিন বলেন, “এ্যাদোন জারোত মানুষ বাঁচে! কাম কাজও ঠিক মতোন কইরবার পাবার নাগছি না। ঘরের বাইরাত বেরাইলে জারোতে হাত ঠ্যাং শিষ্টি নাগি যায়।”

মহিষখোচা এলাকার ৬০ বছর বয়সী কুদ্দুস আলী বলেন, “জারের ঠ্যালায় জানটা শ্যাষ হয়া গেইল বাহে! এই শীতোত বুঝি হামাক মরা খাইবে।”

এদিকে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেলার হাসপাতাগুলোতে রোগীও বাড়ছে। রোববার সকালে কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরে শিশু ও বয়স্কদের বেশি দেখা গেছে।

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কথা হয় রহিমা বেগমের সঙ্গে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সানাউল হাসান সুজন বলেন, “অন্য সময়ে যে রোগী হয়, এখন তার দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এদের মধ্যে সর্দি-নিউমোনিয়া নিয়ে শিশুরাই বেশি ভর্তি হচ্ছে।”

শীত বেড়ে যাওয়ায় বোরো বীজতলাগুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে; আলু ক্ষেতে দেখা দিয়েছে পচন রোগ। কীটনাশক স্প্রে করেও পচন রোগ থামানো যাচ্ছে না বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

আদিতমারী উপজেলার কুমড়ীরহাট এলাকার কৃষক হামিদুল ইসলাম বলেন, তার জামির আলুর বয়স ৬০ দিন। পচন রোধে টানা ২-৩ দিন স্প্রে করেও লাভ পাচ্ছেন না।

এদিকে শনিবার পর্যন্ত পাঁচ উপজেলায় দরিদ্রদের মাঝে ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top