ঢাকা রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


দক্ষিণ মেরুতে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাবে বিপুলসংখ্যক হস্তিসিলের মৃত্যু


প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৪

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০৯

অ্যান্টার্কটিকায় বার্ড ফ্লু মহামারি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শত শত হস্তিসিলের মৃতদেহ ছড়িয়ে থাকার খবর এল। তবে এরা বার্ড ফ্লুর সংক্রমণেই মারা পড়ছে কি না নিশ্চিত নয়। উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতা বিশিষ্ট এ ভাইরাস যদি পেঙ্গুইনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তবে এটি আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় পরিবেশগত বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, এ ভাইরাসটি প্রথমে সাউথ জর্জিয়ার বার্ড আইল্যান্ডের ব্রাউন স্কুয়া পাখির মধ্যে দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই গবেষকেরা ব্যাপক হারে হস্তিসিলের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া অন্যান্য জায়গায় লোমশ সিল, কেল্প গাল ও ব্রাউন স্কুয়ার মৃত্যুর হারও বেড়ে গিয়েছে। দক্ষিণ জর্জিয়া থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে ফকল্যান্ড দ্বীপের সাউদার্ন ফালমার পাখির মধ্যেও বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অ্যান্টার্কটিক ওয়াইল্ডলাইফ হেলথ নেটওয়ার্কের চেয়ার ড. মিগান দেওয়ার দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের হস্তিসিলের মধ্যে এ সংক্রমণ বেশ উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় আমরা শত শত মৃত হস্তিসিল পড়ে থাকতে দেখেছি। এটি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে।’

দক্ষিণ মেরু বা কুমেরুজুড়ে আটটি স্থানে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে সিলের মৃত্যুর ঘটনা উঠে এসেছে। এ ছাড়া আরও ২০টি স্থানে এ রোগের প্রাদুর্ভাবে সিলের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গবেষকেরা বলছেন, বেশ কয়েকটি হস্তিসিলের মধ্যে এভিয়ান ফ্লুর লক্ষণ দেখা গেছে। যেমন—শ্বাস–প্রশ্বাসে কষ্ট, কাশি, নাকের আশপাশে শ্লেষ্মা জমা হওয়া। পাখিদের মধ্যে ঝিম ধরা, খিঁচুনি ও উড়তে না পারার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

বেশ কয়েকটি সামুদ্রিক পাখির মধ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কথা নিশ্চিত হওয়া গেলেও হস্তিসিলের মৃত্যুর পেছনে এ রোগই দায়ী কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। ল্যাব পরীক্ষার ফলাফলের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top