ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিতে ‘মহাপ্রলয়ের হিমবাহ’


প্রকাশিত:
১ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৮

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ২২:২৩

পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা দ্রুতই একটি মারাত্মক চরমসীমা অতিক্রম করতে যাচ্ছে। সেখানকার থোয়াইটস হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার খুব কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আনা ওয়াহলিন।

তবে এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কতটা বৃদ্ধি পেতে পারে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। অধ্যাপক আনা ওয়াহলিন সম্প্রতি থোয়াইটস হিমবাহের তলায় পর্যবেক্ষণের কাজ চালিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, দৃশ্যত বরফের আস্তরণ খুব পাতলা হয়ে যাওয়ায় এই হিমবাহের মধ্যে আর ভাঙন ঠেকানোর মতো শক্তি অবশিষ্ট নেই। ‘মহাপ্রলয়ের হিমবাহ’ নামে পরিচিত এই কাঠামোটির নিচে গবেষণা চালাতে ব্যবহৃত হয় পানির নিচে কাজ করতে সক্ষম রোবট। রোবটটি বরফের তলদেশ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়েছে যাতে দেখা গেছে, হিমবাহটি অত্যন্ত দ্রুত এবং উদ্বেগজনকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।

থোয়াইটস হিমবাহ গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অনেক বেড়ে গিয়ে বিশাল আকারের নিচু উপকূলীয় এলাকা ডুবে যাবে বলে মনে করা হয়। এ জন্যই এর ডাকনাম ডুমসডে আইসবার্গ বা ‘মহাপ্রলয়ের হিমবাহ’।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়া-কমা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। জলের তাপীয় প্রসারণ তার অন্যতম। তবে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক প্যানেলের প্রতিবেদন অনুসারে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ—এক. ভবিষ্যতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কতটা হ্রাস পাবে এবং দুই. পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফের আচ্ছাদনের কি রকম পরিবর্তন ঘটবে।

থোয়াইটস হিমবাহ স্থলভাগ এবং সমুদ্রের বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত। এখন পর্যন্ত হিমবাহটি পানির নিচের দ্বীপসদৃশ বালুচরের সঙ্গে নোঙর করার মতো আটকে থাকাতে সাগরে ভেসে যাচ্ছে না। হিমবাহের ভাসমান অংশটি গলে গেলে চরের মতো অংশ থেকে ছুটে যাবে। স্থলভাগের বরফসহ এটি গভীর সাগরে চলে গেলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।

পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় যে পরিমাণ বরফ রয়েছে, তা গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় তিন মিটার বাড়বে বলে গবেষকরা আশঙ্কা করছেন। বিশ্বব্যাপী পানির নিচে চলে যাবে বিশাল আকারের ভূখণ্ড।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top