ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ গভীর নিম্নচাপে পরিণত : দুবলার চরে কোটি টাকার মাছের ক্ষতি


প্রকাশিত:
৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১০:১৫

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০২:৪৮

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সাগর উত্তাল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোসহ বিভিন্ন জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদনদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি-বাতাসে বেড়েছে শীত।

জাওয়াদের প্রভাবে রাজধানীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে রাজধানীবাসী পড়েছে দারুণ বিপাকে। বৃষ্টির কারণে অফিসগামী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত দুই দিন ধরে রাজধানীবাসী সূর্যের মুখ দেখেনি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব থাকবে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই দুই দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। জাওয়াদ ধীরে ধীরে আরো দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা লঘুচাপ আকারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলের নিকট দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশকিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া, কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে যাতায়াতকারী সব জাহাজ চলাচল গতকাল রবিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। স্থলভাগে ওঠার আগেই দুর্বল হয়ে পড়বে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ মাসেই আরেকটি নিম্নচাপ আসতে পারে, তবে এর সময় কবে হবে, তা বলা যাচ্ছে না।

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা এইচ এম দুলাল জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পাড়ে সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। গত তিন-চার দিন ধরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুটের অধিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে দুবলার চর। ফলে চরে শুকানোর জন্য রাখা প্রায় ২০ লাখ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নষ্ট হয়ে গেছে, যার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। এতে রাজস্ব আয়ের ঘাটতিতে পড়েছে বন বিভাগও।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top