ঢাকা শুক্রবার, ৮ই নভেম্বর ২০২৪, ২৫শে কার্তিক ১৪৩১

‘ক্লিন এয়ার’ প্রকল্পে ৩০ কোটি ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাংক


প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৭

আপডেট:
৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫০

বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক রোববার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বাংলাদেশের ক্লিন এয়ার প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক ৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বায়ুর গুণমান ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করা এবং দেশের প্রধান খাতগুলো থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে (আইডিএ ক্রেডিট)। একই সঙ্গে ‘ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ‘ক্লিন কুকিং’ উদ্যোগের জন্য আলাদা সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহায়তা এবং ঢাকার খাল পুনরুদ্ধারের জন্য উপদেষ্টা বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংককে একটি ‘নীল নেটওয়ার্ক’ তৈরি করার আহ্বান জানান।

তিনি লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিলে সহায়তার পাশাপাশি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নে সহায়তা চান।

বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক রোববার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

রিজওয়ানা এ সময় পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সমন্বিত পদ্ধতির ওপর জোর দেন।

মার্টিন রেইজার ‘প্রগতিশীল পরিবেশ নীতি বাস্তবায়নে’ বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এ প্রচেষ্টাকে বৈশ্বিক সর্বোত্তম অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে বিশ্ব ব্যাংকের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।

আবদৌলায়ে সেক দীর্ঘমেয়াদী টেকসই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত বিনিয়োগের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য ‘একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে কাজ করার’ পারস্পরিক লক্ষ্য নিয়ে পরিবেশগত শাসন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে গভীর সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উভয় পক্ষের আলোচনার সমাপ্তি ঘটে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top