গাছ বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে
![](https://poribeshtv.com/uploads/shares/2023/ptv-2023-10-01-16-26-29.jpg)
বরগুনার তালতলীতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় গাছের সিঁড়ি বেয়ে। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হয়নি। সিঁড়ি বেয়ে উঠে এই সেতু পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার নামিশিপাড়া ও লাউপাড়া এলাকায় নিদ্রার নামক খালের ওপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪.২৭ মিটার প্রস্থ আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৮৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেসার্স সারা-প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই সেতু নির্মাণে কাজের চুক্তি হয়। পরে গত ২০২১ সালে পুরানো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে।
২০২২ সালে সেতুটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। বর্তমানে ওই সেতু থেকে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। ফলে নামিশিপাড়া ও লাউপাড়া এলাকার দুই পাড়ের শত শত মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে নৌকায় পার হতে গিয়ে ভিজতে হচ্ছে। সমতল থেকে প্রায় ৮ ফুট উঁচু সেতুতে সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
ওই এলাকার রাজু তালুকদার, মংচান ও খলিলুর রহমান মাস্টারসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় তাদের আশা ছিল জনভোগান্তি দূর হবে। কিন্তু এখন উল্টো তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ বিষয়ে জানতে মেসার্স সারা-প্রিন্স এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. রিপনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম বলেন, আমি চলতি বছরের জুনে যোগদান করেছি। তখন এই সেতুটির কাজ শেষ হয়েছে। তবে সংযোগ সড়ক করা হয়নি। তার কারণ বর্ষা মৌসুমে মাটির কাজ করতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছে। তবে বর্ষা গেলে দ্রুত কাজ শেষ করা হবে। কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারকে বিল দেয়া হবে না।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: