ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের নামে গাছ কর্তন


প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩২

আপডেট:
২৭ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩৩


গাছের ডাল ছাঁটায়ের নামে গোড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগের দায়ের কোপ গাছগুলোর বড় হওয়ার সাধকে থমকে দিয়েছে। শান্ত সবুজ প্রকৃতিতে কেবল কৃষ্ণচূড়া ফুলসহ ঔষধি গাছগুলো ডালপালা মেলে মাথা তুলতে শুরু করেছিল। কোনো গাছের বয়স হয়তো এক বছর, কোনটার হবে দুই বছর। গাছগুলো কয়েক বছরের মধ্যেই দাঁড়িয়ে যেতো পরিপূর্ণ চেহারা নিয়ে। কিন্তু বাধ সাধলো বৈদ্যুতিক লাইনের পাশে থাকাটাই। গাছের ডাল ছাঁটায়ের নামে গোড়াতে বিদ্যুৎ বিভাগের দায়ের কোপ গাছগুলোর বড় হওয়ার সাধকে থমকে দিয়েছে। দুই দফায় কৃষ্ণচূড়া ফুলসহ ঔষধি প্রায় ২০টি গাছ কাটা পড়েছে।

২৬ আগস্ট,শনিবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা শহরের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের মৌলভীবাজার-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের পানিদার এলাকায় দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক লাইনের পাশে থাকা গাছের ডাল ছাঁটায়ের নামে পৌরসভার লাগানো সৌন্দর্য বর্ধনের বেশ কিছু গাছ কাটায় এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়াই পরিবেশবান্ধব মূল্যবান উঠতি গাছ কেটে ফেলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় প্রতি সপ্তাহে এক দিন সকাল-সন্ধ্যা বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গাছের ডাল ছাঁটাইয়ের নামে বিদ্যুৎ লাইনের ওপরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের ডালপালা কাটে। নিয়মিত ঢালপালা ছাঁটাইয়ের অংশ হিসেবে শনিবার পৌরসভার পানিধার এলাকায় সওজ রাস্তার পাশে দুই বছর আগে পৌর মেয়রের রোপণ করা সাতটি গাছ কেটে ফেলে বড়লেখা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এভাবে অপ্রয়োজনে গাছ কাটার ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মেয়রের লাগানো গাছ কোনভাবেই বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি করছে না এবং তা বিদ্যুৎ লাইনের কাছাকাছিও নয়। এর আগে গত শনিবার (১৯ আগস্ট) আরও ১৩টি গাছ কেটে ফেলেছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

বড়লেখা পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, গাছগুলো রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়। বিদ্যুৎ লাইনের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় - সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগুলো রোপণ করা হয়েছে। গাছগুলো যাতে গরু-ছাগল নষ্ট না করে, নিরাপদে বেড়ে ওঠে এ জন্য দুই বছর থেকে পরিচর্যা করা হচ্ছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বেশ কিছু গাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলে এবং আরও কিছু গাছের মাথা মুড়িয়ে ফেলে।

এর আগেও তারা অপ্রয়োজনে কয়েকটি গাছ কাটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোনে আপত্তি জানানো হয়েছে। থানার ওসিকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান পৌর মেয়র ।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম আশরাফুল হুদা বলেন, বিষয়টি জানার পরই ওই এলাকায় গাছকাটা বন্ধ করা হয়েছে। আগামীতে গাছের ডাল কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top