বালু সন্ত্রাসীদের থামাবে কে?
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে চলছে অবাধে বালু উত্তোলন। এতে অনেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইজারা ছাড়াই বালু উত্তোলনের কারণে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে। সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ইশারায় চলছে এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ। অবৈধ আয়ের একটি বড় অংশ যায় এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালীদের পকেটে।
ক্ষমতার দাপটে অসহায় প্রশাসন এ নিয়ে অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে। আবার কোথাও কোথাও প্রশাসনও বালু উত্তোলনে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযানের নামে আইওয়াশেরও অভিযোগ রয়েছে। বালু সন্ত্রাসীদের জানিয়ে অভিযান পরিচালনারও গুরুতর অভিযোগ আছে। যেন রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে।
পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঐতিহ্যবাহী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনায় ড্রেজার বসিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও বালু সন্ত্রাসীদের থামানো যাচ্ছে না। ‘যতই লেখেন কোনো লাভ হবে না’ এমন আস্ফালন দেখাচ্ছেন প্রভাবশালীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে জোরপূর্বক মেঘনায় বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন যুবলীগ নেতা। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে থামানো যাচ্ছে না ভাঙন। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে অসংখ্য বাড়িঘর প্রতিষ্ঠান ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ধোবাউড়ায় নেতাই নদী, মাগুরার মহম্মদপুরের মধুমতি, ফেনী নদীসহ বিভিন্ন নদ নদীতে থামানো যাচ্ছে না বালু সন্ত্রাসীদের।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: