লক্ষ্মীপুরে অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত
মেঘনার জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। জেলার রামগতি, কমলনগর ও রায়পুরের নদীর তীরবর্তী বিভিন্নস্থানে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বেড়েছে। এতে ঘর-বাড়ি ও হাট-বাজারে পানি ডুবে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে ডুবে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি, ভেসে গেছে কিছু খামারের মাছ।
সন্ধ্যায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামগতির চরগজারিয়া, চররমিজ, বড়খেড়ি, চরআলগী, বালুর চর, কমলনগরের লুধুয়া, মতির হাট, ফলকন, নাসিরগঞ্জ, রায়পুরের চরকাচিয়া, কানিবগার চর, চরইন্দুরিয়া, চরজালিয়াসহ অন্তত ২৫টি গ্রামে চার থেকে পাঁচ ফুট করে পানি বেড়েছে। আউস ধান ও আমনের বীজতলাসহ মৌসুমি সবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার অধিকাংশ হাট-বাজার ও বসতঘর-উঠানে পানি থই থই করছে।
রামগতির চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার বলেন, পানিতে এখন ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড তলিয়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন ৪-৬ ফুট পানি বেশি। এতে অন্তত ২০ হাজার পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে।
রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজী বলেন, বেঁড়িবাঁধের বাহিরের এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি বেড়ে গেছে। এতে মানুষের কষ্টও বেড়েছে।
কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, বেশি জোয়ারের কারণে আংশিক আউশ ধান ও আমন ধানের বীজতলা পানিতে ডুবছে। এরই মধ্যে ২০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ৩-৪ দিনের মধ্যে পানি ক্ষেত থেকে নেমে গেলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি ডুকেছে। তা নেমে যাবে। পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে এমনটি হয়েছে। কোন এলাকায় বেশি পানি ডুকে ক্ষতি হলে তা খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: