উত্তরে বন্যা শুরু; আসছে মধ্যাঞ্চলে
উজানে ভারতে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, মনিপুর, নাগাল্যান্ড ভারীে থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে শুরু হয়েছে পাহাড়ী ঢল। পাহাড়ী ঢলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলায়। এর পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ ও জামালপুর জেলায় বাড়ছে নদীর পানি।
শনিবার ১৮ জুন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, ধরলার পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের ৬ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল ও নদ-নদীর অববাহিকায় বসবাসকারী চরাঞ্চলের মানুষজন। অনেক পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচায় আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছে।
উজান থেকে নেমা আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্রের পানি যমুনায় পড়েছে। এতে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। জেলার কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের মানুষ।
শনিবার ১৮ জুন সকালে এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান।
পিটিভি/জুআসা/২০২২
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: