ঢাকা রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


এভারেস্টের চেয়ে  তিনগুণ বড়, শিং বাগিয়ে তেড়ে আসছে  'শয়তান ধূমকেতু'!


প্রকাশিত:
২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৩৩

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১৫

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল আকারের শিংওয়ালা এক ধূমকেতু। যার আকার মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় তিনগুণ। বিজ্ঞানীরা শিং দেখে এর নাম রেখেছেন 'শয়তান ধুমকেতু'। পৃথিবীর খুব কাছে চলে এলে খালি চোখেই একে দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ধূমকেতুটির মধ্যে ঠাণ্ডা আগ্নেয়গিরি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর দিকে তীব্র গতিতে ছুটে আসছে সুবিশাল এক ধূমকেতু। যার বিজ্ঞান সম্মত নাম 12P/Pons-Brooks।  

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সূত্রে খবর, ৫ থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে মহাকাশে ধূমকেতুটির ফের একবার হদিশ মেলে। তখনই এর জোড়া শিং দেখা গিয়েছিল। ধূমকেতুটি আরও কাছে এলে টেলিস্কোপ ছাড়া খালি চোখেই একে দেখা যাবে বলে অনুমান মার্কিন গবেষকদের।

বিজ্ঞানীরা এই ধূমকেতুটিকে ক্রায়োভোলক্যানিক বলেছেন। যার অর্থ হল ঠান্ডা আগ্নেয়গিরি। ধূমকেতুটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার চওড়া। অদ্ভুত আকারের কারণে একে নিয়ে রসিকতা করতে দেখা দিয়েছে মার্কিন গবেষকদের। তাঁদের কথায়, কল্পবিজ্ঞানে যে ধরনের মহাকাশযানের উল্লেখ রয়েছে, ধূমকেতুটি কতটা সেই রকম দেখতে। অনেকে আবার একে জনপ্রিয় হলিউড সিনেমা 'স্টার ওয়ার'-র স্পেস শিপ মিলেনিয়াম ফ্যালকন-র সঙ্গে তুলনা করেছেন।

ক্রায়োভোলক্যানিক একটি বিশেষ ধরনের আগ্নেয়গিরি। যার মুখ দিয়ে গরম লাভা নয়, জল, মিথেন ও অ্যামোনিয়ার উদগীরণ হতে থাকে। আর অত্যন্ত ঠাণ্ডা পরিবেশে এগুলিকে বের করে দেয় এই আগ্নেয়গিরি। ওই সময় আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের অনেকটাই নীচে।

এই ধূমকেতু'-র পৃথিবীর সঙ্গে  ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই মনে করছেন জ্য়োতির্বিজ্ঞানীরা। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪-এ ধূমকেতুটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এর পর ফের এই ধূমকেতুর দেখা মিলবে ২০৯৫-তে।

উল্লেখ্য, অন্য সমস্ত ধূমকেতুর মতো 12P-র রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় অঞ্চল। সেটি গ্যাসীয় ধূলো ও বরফের সংমিশ্রনে তৈরি। তবে অন্যান্য ধূমকেতুর চেয়ে এতে অনেক বেশি বরফ ও গ্যাস রয়েছে, জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

চলতি বছরের ২০ জুলাই প্রথমবার ধূমকেতুটির সন্ধান পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত মহাশূন্যে এমন ২০টি ধূমকেতুর সন্ধান গবেষকরা পেয়েছেন যাদের মধ্যে ঠাণ্ডা আগ্নেয়গিরি জীবন্ত অবস্থায় রয়েছে। 12P তাদের মধ্যে অন্যতম বলে জানা গিয়েছে।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top