ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


গাছে গাছে আম্র মুকুল জানাচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা


প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২২ ০৫:৩৫

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৮

শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই মধুময় কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে গাছে গাছে। হলুদ রঙের আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছের ডাল। বাতাসে মিশে আসে মুকুলের ম ম ঘ্রাণ।

যে ঘ্রাণ মনকে বিমোহিত করার পাশাপাশি জানান দিচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে পাবনার গ্রাম শহর সর্বত্রই।
রঙিন বনফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে। তেমনি সেজেছে পাবনার বিভিন্ন উপজেলার আমবাগান ও ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ির আঙিনায় লাগানো আমগাছগুলো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে বাড়ির আঙিনায় লাগানো আমগাছগুলো। এ বছর জেলায় দুই হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমির আমগাছে মুকুল এসেছে। যা থেকে ৩৫ হাজার ৫৩৩ মেট্রিক টন ফলনের আশা করা হচ্ছে।

বাগান মালিকরা জানান, গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। যাতে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। মুকুলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হচ্ছে। এ অঞ্চলে দেশি আমের পাশাপাশি আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি জাতের আম অন্যতম।

জেলার ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, সুজানগর, বেড়া, চাটমোহরসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আমগাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছেগাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত ঘ্রাণ। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে।

আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের জাহিদ আলম জানান, চার বছর আগে তিনি আমের চাষ শুরু করেন। প্রথম পর্যায়ে সামান্য পরিমাণ জমিতে পরীক্ষামূলক আম চাষ শুরু করেন তিনি। প্রথম বছরেই লাভ করায় জমির পরিমাণ বাড়িয়ে শুরু করেন আম চাষ। বর্তমানে তার বাগানের আমগাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে মুকুল বের হচ্ছে। মুকুলের ম ম গন্ধে তার চোখে ভাসছে স্বপ্ন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, পাবনার আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই। আমের মুকুল আসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কী কী পরিচর্যা করতে হবে সে বিষয়ে কৃষি অফিস সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top