ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে ঝিনাইগাতীর শাল-গজারি বন


প্রকাশিত:
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০২

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৭

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: পাহাড়ি শাল-গজারি বনাঞ্চল ধ্বংস করে বন বিভাগের জমি দখলের পর পাকা বাড়িঘর নির্মাণে মেতে উঠেছে অবৈধ দখলদাররা। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা প্রভাবশালী এসব দখলদারের সামনে জনবল সঙ্কট ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে বন বিভাগ।

উপজেলার সীমান্তবর্তী কাংশা ইউনিয়নের রাংটিয়া রেঞ্জের আওতায় পাহাড়ি শাল বাগান ঘিরে রয়েছে গজনী বিট অফিস। এ বিট অফিসের চারপাশে বনের জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি। এলাকাবাসী জানায়, নওকুচি ও গান্ধিগাঁও রিকশার গ্যারেজসহ কয়েকটি বন এলাকায় বনের সংরক্ষিত গেজেটভুক্ত প্রায় ৫শ একর জমি এলাকার প্রভাবশালী মহল ও স্থানীয় কতিপয় দালাল রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় বনের জমি দখল প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছে। কেউ কেউ আবার দখলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। জমি দখলের পর নিজের কব্জায় রেখে পজিশন বিক্রিও করছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গজনির শাল-গজারির বিস্তৃত বনাঞ্চল।

সরেজমিন দেখা যায়, কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি, গান্ধিগাঁও গ্যারেজ, বাকাকুড়া এবং গজনী মৌজায় সিদ্দিক, লুৎফর, শাহজাহান, ইমান আলী ও আজিজসহ অনেকেই পাকা দালান নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। অবৈধ এসব দখলদারদের নিষেধ করেও দমাতে পারছে না বন বিভাগ। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বন বিভাগকে। উল্টো মিথ্যা অভিযোগ তুলে মিছিল-মিটিং ও হুমকি-ধমকি শুরু করেছে তারা।

এলাকাবাসী জানায়, শাল-গজারির বাগান দিয়েই পর্যটন এলাকা ‘গজনী অবকাশ’ দেশব্যাপী পরিচিত ও আকর্ষণীয়। অথচ পাহাড় খুঁড়ে অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাহাড়ি বনভ‚মি দখল করে রাতারাতি বাড়িঘর নির্মাণের ফলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে এ বনাঞ্চল বিলুপ্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইলিসুর রহমান জানান, বন বিভাগের প্রায় ৮ হাজার ৮৮০ একর বনভ‚মির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬শ একর জায়গা জবরদখল করে ফেলা হয়েছে অতীতেই। যারা আগে থেকেই ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে সম্প্রতি তাদের উচ্ছেদের বিষয়ে মৌখিক তাগাদা দেওয়া হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ৯ জানুয়ারি বন বিভাগের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের নিকট উল্টো স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপি দেওয়ার পর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে নতুন নতুন ঘর, ইটের দালান তৈরি শুরু করেছে তারা। তবে তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top