ঢাকা সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস


প্রকাশিত:
১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৪৪

আপডেট:
১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৩৬

ঘূর্ণিঝড়

পরিবেশ টিভি: ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট যেসব সংকটময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, সেগুলোকে দমন বা নিবারণের লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ভূমিকম্প, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, মহামারী, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি মানবসমাজসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে এবং এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে। তবে সচেতন হলে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষপটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

‘নিয়ম মেনে অবকাঠামো গড়ি, জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করি” স্লোগান নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্যের তাৎপর্য অনুধাবন করে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে সরকার। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডবিষয়ক মহড়া সম্পন্ন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আজ ১৩ অক্টোবর সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৯ এর অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেটে একশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে নদী ভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।’ এসময় প্রধানমন্ত্রী ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১৪ জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদীগুলোতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে আমরা সেগুলো ড্রেজিং করছি। তাছাড়া ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে।’‘আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সে সময় ৪৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্কাউট, বিএনসিসি, গার্ল গাইডসও দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে।’




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top