ঢাকা শনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪, ১৩ই শ্রাবণ ১৪৩১

কানাডায় ভয়াবহ দাবানল, ঝুঁকিতে তেলসমৃদ্ধ এলাকা


প্রকাশিত:
১৫ মে ২০২৪ ১৮:৫৭

আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৩

ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছে কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। নিয়ন্ত্রণহীন আগুন এরইমধ্যে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ ‘টার বালি’ (তেল) সমৃদ্ধ এলাকা ফোর্ট ম্যাকমুরেসহ আশপাশের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ জারি করেছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

আলবার্টার আঞ্চলিক পৌরসভা উড বাফেলো কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার বিকেলে বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়ার নোটিশ জারি করে। দাবানল ক্রমেই ধেয়ে আসার কারণে আবাসান্ড, বিকন হিল, প্রেইরি ক্রিক এবং গ্রেলিং টেরেস এলাকার বাসিন্দাদের দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে চলে যেতে নির্দেশ দেয়।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, এলাকাগুলোতে দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। আঞ্চলিক জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণের। তবে লোকজন সরে গেলে আশপাশের এলাকাগুলোকে দাবানল থেকে রক্ষা করা সহজ হবে।

কানাডার তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ আলবার্টা। এ অঞ্চলে বিস্তৃত এলাকায় টার বালি (তেল-বিটুমিনের আকরিক) রয়েছে। টার বালি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে বিপদ আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

আলবার্টা প্রদেশের ওয়াইল্ডফায়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, ফোর্ট ম্যাকমুরে থেকে প্রায় ১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে আগুন জ্বলছে। ক্রমশই তা শহরের দিকে ধেয়ে আসছে। আগুন ও ধোঁয়ার কারণে সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

ফোর্ট ম্যাকমুরে এলাকা এর আগেও বিধ্বংসী দাবানলের শিকার হয়েছে। ২০১৬ সালে শহরটিতে ভয়াবহ দাবানলে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য শত শত স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায় ওই বছর কয়েক হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ফোর্ট ম্যাকমুরে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ১ লাখের বেশি বাসিন্দাকে। তখন বেশ কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয় তেল উৎপাদন।

কানাডা সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের শিকার হয় গত বছর। ২০২৩ সালে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৭ হাজার দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে যায় দেড় কোটি হেক্টর এলাকা। দাবানল নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারান অন্তত ৯ ফায়ারকর্মী। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয় আড়াই লাখের বেশি বাসিন্দাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরির্বতনের প্রভাবে কানাডাসহ ইউরোপে রেকর্ড-সংখ্যক দাবানলের ঘটনা ঘটছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কানাডায় দাবানল মৌসুমের সময়ও বেড়ে গেছে, যা এপ্রিলের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর- অক্টোবর পর্যন্ত ঘটছে। দেশটিতে অর্ধেকের বেশি দাবানল ছড়িয়ে পড়ে বজ্রপাতের আগুনে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top