ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ


প্রকাশিত:
১১ নভেম্বর ২০২১ ১০:৫৯

আপডেট:
১১ নভেম্বর ২০২১ ১১:০০

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিশ্ববাসীকে আশাবাদী করে তুললেও তা বাস্তবানের গতি দেখে অতীতে তারা বারবার হতাশ হয়েছে। এবারের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে কি না, এ নিয়ে এখন নানারকম আলোচনা চলছে। দীর্ঘদিনের আলোচনার ধারাবাহিকতায় প্যারিস চুক্তি বিশ্ববাসীকে বিশেষভাবে আশাবাদী করে তুলেছিল।

এখন সবাই প্যারিস চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন দেখতে উন্মুখ। কপ২৬-এর দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে প্রকাশিত আলোচনার খসড়ার সারাংশ, যার আলোকে সমাপনী পর্বের সারপত্র চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে, এই খসড়াকে ইতোমধ্যে কোনো কোনো সংগঠক ও আলোচক দুর্বল বলে অভিহিত করেছেন। কারণ বিশ্বে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কীভাবে বন্ধ হবে, এতে এর উল্লেখ নেই। প্রশ্ন হলো, এভাবে চলতে থাকলে প্যারিস চুক্তি ও অন্যান্য সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হবে কীভাবে?

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ চাইছে বিশ্বের গরিব দেশগুলো। কিন্তু এ ক্ষতিপূরণের অর্থের ব্যাপারে নানা টালবাহানা অব্যাহত রেখেছে ধনী দেশগুলো। কপ২৬ থেকে এখনো আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আরও বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার দাবি করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে ধনী দেশগুলোর পক্ষ থেকে এই অর্থ সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে এই অর্থ দেবে, তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। উন্নয়নশীল দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হলেও কার্যত কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে কোটি কোটি মানুষের জীবন নিয়ে দরকষাকষি করছে ধনী দেশগুলো। বস্তুত উন্নত দেশগুলোর কারণেই বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে। কাজেই উন্নত দেশগুলোকেই নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব; দ্রুততম সময়ে প্রতিশ্রুত অর্থ দিতে হবে। কপ২৬-এর অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি মোকাবিলা। প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনের অংশ হিসাবে উন্নত দেশগুলোকে সহজ শর্তে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে নেট জিরো টার্গেট অর্জন করার জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থ নিয়ে যাতে কোনোরকম কারসাজি না হয়, সেদিকেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।

সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top