চট্টগ্রামের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ অন্যান্যরা মন্ত্রী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. তফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এদিকে ঢাকায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ১২.৫ কিলোমিটার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকার কুড়িল ফ্লাইওভার পয়েন্ট থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত) যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানে ব্যয় হয়েছে ১৪,০০০ কোটি টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েতে কোন স্টপওভার পয়েন্ট, ট্রাফিক সিগন্যাল বা অন্য কোন বাধা নেই। তাই যানবাহনগুলো তার পুরো দৈর্ঘ্য ছয় বা সাত মিনিটের মধ্যে চলতে পারে। এতে রাজধানী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) একটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে।
সিডিএ প্রকল্পগুলো হলো-১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফৌজদারহাট-বায়োজিদ লিংক রোড, বাকালিয়া এক্সপ্রেস রোড।
সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, জানে আলম দোভাষ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে সিডিএ প্রকল্পগুলোর নামকরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
সিপিএ নিজস্ব অর্থায়নে ১২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজ উদ্যোগে নিজ এলাকায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৫১টি ঘর নির্মাণ করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: