ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০

চলাচলের উপযোগী করতে ১৭৮ নদী খনন করা হবে


প্রকাশিত:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৫৮

আপডেট:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:১০

ফাইল ছবি

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ‘ড্রেজিং মাস্টার প্ল্যান’ করা হয়েছে। এর আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ চলাচলের উপযোগী করা হবে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ নুরুনবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নৌপ্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

সরকারি দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে দুই দেশের নৌ-প্রটোকলভুক্ত ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় কালনি ও কুশিয়ারা নদীর আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ নৌপথের ২৮৫ কিলোমিটার এবং যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া নৌপথের ১৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।

সরকারি দলের সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্ষাকালে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার। শুষ্ক মৌসুমে এটি ৬ হাজার কিলোমিটারে কমে আসে। নৌযান যাতে বাধাহীনভাবে চলাচল করতে পারে সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ৩৯টি নৌযান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় যাতায়াত ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হভার ক্র্যাফ্ট সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলে সমুদ্রগামী ছয়টি বড় জাহাজ ক্রয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাঙ্কার, দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও কয়লা পরিবহন উপযোগী দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার। এ ছাড়া সমুদ্রগামী আরও ৪টি নতুন সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ কেনার পরিকল্পনা আছে।

তামাকের কারণে আর্থিক ক্ষতি ৩০ হাজার কোটি

সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ মমতা হেনার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘দ্য ইকোনমিক কস্ট অব টোব্যাকো ইউজারস ইন বাংলাদেশ: এ হেলথ কস্ট এপ্রোস’ শিরোনামে ২০১৮ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ১৫ লাখের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ তামাক সেবনের কারণে এবং ৬১ হাজারের বেশি শিশু পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টোব্যাকো এটলাস ২০১৮ অনুযায়ী, তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে।

 

সূত্র: প্রথম আলো


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top