ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

সাড়া ফেলেছে পাটের ঢেউটিন কম্বল ও পলিব্যাগ


প্রকাশিত:
২৩ জানুয়ারী ২০২০ ০৮:০২

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৯

ফাইল ছবি

পরিবেশ টিভি: পাটের তৈরি ঢেউটিন! কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও বাণিজ্য মেলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্যাভিলিয়ন ঘুরে এমনটাই দেখা গেল। শুধু পাটের তৈরি ঢেউটিনই নয় বরং ‘সোনালি আঁশ’ খ্যাত এই পাটের কত রকমের ব্যবহার হতে পারে তারই চিত্র ভেসে উঠেছে পাটের তৈরি পরিবেশবান্ধব এসব পণ্যের আয়োজন দেখে। রয়েছে পাট দিয়ে তৈরি পলিব্যাগ। এই পলিব্যাগ শতভাগ পরিবেশবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী পরিবেশবান্ধব এই পলিব্যাগের নামকরণ করেছেন সোনালি ব্যাগ হিসেবে। সোনালি ব্যাগের আবিষ্কারক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোবারক আহমেদ খান প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সাফল্যজনক গবেষণার জন্য তিনবার পুরস্কারও অর্জন করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানালেন, পাটের সেলুলোজ থেকে তৈরি সোনালি ব্যাগের রয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য। সোনালি ব্যাগের ভারবহন ক্ষমতা পলিথিনের ব্যাগের চেয়ে ১.৫ গুণ বেশি। এটি মাটি ও পানিতে সহজেই পচনশীল। এ ছাড়া পানিতে মাছের খাদ্য হিসেবেও এই সোনালি ব্যাগ ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়াও রয়েছে জুট ফাইবার দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ট্রে, টুলবক্স, ক্লিপ বোর্ড, ফুলের টব, পাটের আঁশ দিয়ে তৈরি জায়নামাজ, পাটের তৈরি কম্বল, বোতল রাখার জন্য ব্যাগ, কাঁধ ব্যাগ, সাইড ব্যাগসহ নানা ধরনের পাটপণ্য। এসব ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।

প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী জাহিদ হাসান জানান, পাটের ফাইবার থেকে তৈরি এসব পণ্য দেখে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বিস্মিত হচ্ছেন। বেচাকেনাও খারাপ হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি বেশি বিক্রি হচ্ছে পাটের ব্যাগ।

জুটো-ফাইবারগ্লাস ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃক নির্মিত এসব পণ্যেরও রয়েছে বহুমুখী সুবিধা। এসব আসবাবপত্র কাঠের সামগ্রীর ন্যায় বেঁকে যায় না, ঘুণে ধরে না, অল্প আগুনে পোড়ে না, পানিতে নষ্ট হয় না, মরিচা পড়ে না এবং স্বাভাবিকভাবেই যুগ যুগ ধরে ব্যবহারযোগ্য। এ ছাড়াও এসব দ্রব্যাদির জন্য কাঠের আসবাবপত্রের মতো রক্ষণাবেক্ষণের খরচ নেই বললেই চলে। প্রয়োজনে শুধু সাবান পানি দিয়েই খুব সহজে পরিষ্কার করা যায়।

জুটো-ফাইবারগ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রজেক্ট হেড সীমা দাস বলেন, বর্তমান ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর আসবাবপত্রের বিপুল চাহিদা পূরণ করতে প্রতিনিয়তই উজাড় করা হচ্ছে বনসম্পদ। নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র হিসেবে এখানে তৈরি দ্রব্যাদি ব্যবহার করে আমরা এদেশের বন সম্পর্কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারি। কাঠের অন্যতম প্রধান বিকল্প হিসেবে এসব দ্রব্যাদি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং রফতানিযোগ্য।

আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছি এসব পণ্যকে দেশীয় বাজারে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আশা করি, আগামীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে এসব পণ্য কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এবং রফতানিযোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top