ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


লবণাক্ততা সহনশীল ৩ সরিষার জাত উদ্ভাবন


প্রকাশিত:
২৪ মার্চ ২০২১ ০১:৫৭

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪২

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) স্বল্প সময়ে পোক্ত হয় ও লবণাক্ত সহনশীল তিনটি সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত ‘বাউ সরিষা-১’, ‘বাউ সরিষা-২’ ও ‘বাউ সরিষা-৩’ এই তিন জাত ১২ ডেসিসিমেন্স পর্যন্ত লবণাক্ততা সহনশীল।

জানা গেছে, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্পের পিএইচডি প্রোগ্রামের আওতায় বাকৃবি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) যৌথভাবে জাতগুলো উদ্ভাবনে কাজ করে। উদ্ভাবিত জাতগুলো অলবণাক্ত ও লবণাক্ত উভয় এলাকায় চাষ করা যায় বলে এর মাধ্যমে দেশে সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন।


গবেষকরা জানান, এই তিনটি সরিষার জাত থেকে লবণাক্ত মাটিতে প্রতি হেক্টরে ২.৫ মেট্রিক টন এবং অন্যান্য মাটিতে প্রতি হেক্টরে তিন মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যাবে। এছাড়া এই জাতগুলো থেকে ৪০-৪১ শতাংশ তেল পাওয়া যাবে। উদ্ভাবিত তিনটি জাত এরই মধ্যে জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

গবেষণায় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুতফুল হাসানের তত্ত্বাবধানে প্রধান গবেষক হিসেবে ছিলেন বিএআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসী বেগম। এছাড়া সহকারী গবেষক হিসেবে ছিলেন বাকৃবির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বিএআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রোজিনা আফরোজ।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা ৫১.২৭ লাখ মেট্রিক টন, যার মধ্যে ৪৬.২১ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকেই সাধারণত ভোজ্যতেল তৈরি করা হয়। দেশে মোট ৪.৪৪ লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়, যা থেকে ৬.৫ লাখ মেট্রিক টন সরিষা এবং এই সরিষা থেকে ২.৫০ লাখ টন তেল উৎপন্ন হয়।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top