ঢাকা বুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩রা আশ্বিন ১৪৩১


ইউটিউব দেখে কচু চাষে সফল কৃষক


প্রকাশিত:
৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:০৯

আপডেট:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:২৮

ইউটিউব দেখে কচুর চাষ করে কয়েক লাখ টাকা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কচু চাষি সুমন বিশ্বাস। নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকার চাষি সুমন বিশ্বাস স্বপ্ন দেখছেন মাত্র ৫০ শতক জমির কচু ও লতি বিক্রি করে তার আয় হবে ৫ লক্ষাধিক টাকা। তার এই সাফল্য দেখে আশেপাশের অনেকেই কচু চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

জানা গেছে, সুমন বিশ্বাস এক বছর আগে ইউটিউবে বিশালদেহী কচুর চারা দেখে উদ্বুদ্ধ হন। পরে ওই কচু চাষির সঙ্গে যোগাযোগ করে ও পরামর্শ নিয়ে নিজেই কচুর চাষ শুরু করেন। নিজের ৫০ শতক কচু চাষের জন্য প্রস্তুতি করে চারা রোপণ করেন। সময়মতো সার, পানি ও সঠিকভাবে পরিচর্যা করে এখন পরিপূর্ণ হয়েছে কচুগুলো। এক একটি কচুর উচ্চতা ৪ থেকে ৬ ফুট আর ওজন হয়েছে ১০ থেক ১৫ কেজি পর্যন্ত। প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুইশ পিস কচু উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছেন।

সুমন বিশ্বাসের উৎপাদিত কচু এবং কচুর লতি নড়াইলের আশপাশে বড় বড় বাজারের পাশাপাশি খুলনা ও যশোরেও ব্যাপারীদের মাধ্যমে সরবরাহ হচ্ছে।

সুমন বিশ্বাস বলেন, ইউটিউব দেখে কচু চাষে আগ্রহী হই। এক পর্যায়ে ওই কচু চাষির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরামর্শ নিয়ে চাষ শুরু করি। সঠিক পরিচর্যা ও সার ব্যবহারের মাধ্যমে কচুগুলি পরিপূর্ণ হওয়ার পর বিক্রি শুরু করি। একই সঙ্গে কচুর লতি বিক্রি করেও ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। প্রতি পিস কচু আকার ভেদে ৬০-৮০ টাকা বা তার বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ বাদে ৪ লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশাবাদী।

কচুতে অন্যান্য সবজির মতো কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। তাই ক্রেতাদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া তরকারী হিসেবে কচুর তরকারী মাছের পাশাপাশি ভাজিসহ বিভিন্নভাবে খাওয়ার সুবিধা রয়েছে। সে কারণে বাজারে কচুর চাহিদা রয়েছে। কচু চাষে কষ্ট হলেও অধিক লাভ হওয়ায় আশেপাশের অনেকেই আগামীতে কচুচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।’

পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা স্বপন কুন্ডু বলেন, সুমন বিশ্বাসের কচু এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। কচু দিয়ে মাছ, মাংস দিয়ে তরকারী রান্না করা যায়। তাছাড়া কচুর পাতা ও ডগা সিদ্ধ করে ভাজি করলে অনেক মজাদায়ক হয়। আর যদি ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে ভাজি করা যায় তাহলে আরো রুচিদায়ক হয়। আগামী বছরে সারা বছরের সবজি হিসেবে বাড়ির পাশে কিছু কচু রোপণের চিন্তা ভাবনা করছি।

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, সুমন বিশ্বার এই কচু চাষের সাফল্য দেখে অন্যরা উৎসাহিত হচ্ছে। উৎপাদন খরচ ও রোগবালাই কম থাকায় সহজ পদ্ধতিতে তার এই কচু চাষ অনেক উদ্যোক্তার জন্য হতে পারে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। নতুন চাষিদের কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে। এ বছর নড়াইল সদর উপজেলায় ১৪২ হেক্টর জমিতে কচু চাষ হয়েছে।

 


বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top