ঢাকা শুক্রবার, ২৪শে জানুয়ারী ২০২৫, ১১ই মাঘ ১৪৩১


বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে ভেষজ রত্ন বাসক


প্রকাশিত:
২৯ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪০

আপডেট:
২৪ জানুয়ারী ২০২৫ ০১:১৬

বাসক পাতার ঔষধি ব্যবহার আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে মানুষের নানা রোগ নিরাময়ে। এ উদ্ভিদটি মহামূল্যবান এক ভেষজ ওষুধ, যা আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারাও প্রমাণিত হয়েছে। এটিকে ভেষজ রত্ন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়।

বাসক একধরনের চিরসবুজ গুল্মজাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ। এটি একটি ভারতীয় উপমহাদেশীয় উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম জাস্টিসিয়া আধাতোদা। সংস্কৃত নামের ভিত্তিতে এটির বাংলা নামকরণ করা হয় বাসক। এটি আর্দ্র ও সমতল ভূমিতে বেশি জন্মে। এ ছাড়া ভিন্ন পরিবেশেও এদের জন্মাতে দেখা যায়।

ইউনানি চিকিৎসকরা বলছেন, বাসক পাতা মানবদেহের নানা রোগ নিরাময়ে কার্যকরী এক ভেষজ উদ্ভিদ। এটি শুকনো কাশি নিরাময়ে বেশ উপকারী। এটি ফুসফুসের বায়ু থলিতে জমে থাকা কফ বের করে আনতে সাহায্য করে। বাসক ফুসফুসের প্রদাহ, ঠান্ডা-সর্দি, ব্রংকাইটিস ও টনসিলের সমস্যায় বেশ কার্যকরী ভেষজ ওষুধ। কাশির সঙ্গে রক্তপাত নিরাময়ে বাসক পাতার রস বা পাতা ফোটানো জল বিশেষ উপকারী। বাসক পাতা লিভারের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে।

এ ছাড়া বাসক পাতা পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। কালো চামড়া উজ্জ্বল করতেও এই গাছের পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে। এর ফলে হাঁপানি ও শ্বাসনালির খিঁচুনিজনিত সমস্যায় এর ব্যবহার বেশ ফলপ্রসূ। বাসক পাতা পেপটিক আলসারের সমস্যায় সাহায্য করে।

তবে সঠিক তত্ত্বাবধান ও সংরক্ষণের অভাবে এ ভেষজ রত্ন প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে পড়ছে।

একসময় উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে ও অধিকাংশ বাড়ির আঙিনায় বাসক গাছ দেখা যেত। যার সংখ্যা দিন দিনই কমে আসছে। স্থানীয়দের মতে আধুনিক এলোপ্যাথি চিকিৎসার অভূতপূর্ব প্রসারের ফলে গাছগাছালির মাধ্যমে দেওয়া আয়ুর্বেদ চিকিৎসা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে বাসক গাছের মতো আরও বহু ঔষধি গাছ সংরক্ষণের অভাবে বিলুপ্তির পথে হাঁটছে। এতে ভবিষ্যতে গাছগাছালির মাধ্যমে দেওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত আয়ুর্বেদ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top